EASY VACUUM MACHINE FOR DISEASE CURE / রোগ সরানোর জন্য “সহজ বায়ুশূন্য” করিবা যন্ত্র / विमारी हटाने के लिए “सहज वायुशून्य” यंत्र|
প্রাচীন কালের প্রচলিত “বায়ুশূন্য” বিধিকে নবীনিকরণ করে এই চিকিত্সা পদ্ধতি “Easy Vacuum Machine” আবিষ্কার করা হয়েছে| এই মেশিনের প্রধান কাজ হল ভ্যাকুয়াম (বায়ুশূন্য) করা| শরীরের বিভিন্ন অংশে এই মেশিন লাগিয়ে ঐ স্থানের রক্ত সরবরাহকে বাড়িয়ে দেওয়া যায়| এই মেশিনের সাহায্যে বিনা-ঔষধ প্রয়োগেই বৃহত্ চমত্কারিক ভাবে কিছু রোগকে নির্মূল করা যায় | অযোক্তিক ব্যবহার ছাড়া এই মেশিন ব্যাবহারের কোনও প্রকারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই | পেটের উপরে লাগিয়ে “ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্রে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে দিতে, চিপকে থাকা মলকে স্থান্চ্যুত করে দিতে ও “নাভি কেন্দ্র থেকে সরে যাওয়া প্রধান নাড়ীকে নাভি কেন্দ্রে স্থাপনা করে দিতে ” এই মেশিন বিশেষ উপযোগী| ইহাতে বিশেষ করে পেটের সন্তূলন ও ব্রেনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, মাথা ও পেটে সঙ্গে সঙ্গে হালকাপন অনুভব হয়৷ পোলিওগ্রস্ত অঙ্গে মাংস আনিতে, পুরুষদের ছোট লিঙ্গ বড় করে দিতে, মা বোনদের স্তনের সাইজ বড় করে দিতে ও এই মেশিন বিশেষ সহায়ক| টেনশন হয়েছে! ক্ষিদে নাই! এক্ষুনি এই মেশিন লাগান 15 মিনিট পরই মাথা-পেট হাল্কা হয়ে ক্ষিদে লেগে যাবে তাই একে “ডাক্টর মেশিন”ও বলা যেতে পারে| এই মেশিন দ্বারা সম্পুর্ন শরীরের মালিশ করা করা খুব সহজ, আরাম দায়ক ও সুখ-নিদ্রা দায়ক তাই একে “ম্যাসাজ মেশিনও” রাখা যেতে পারে| তাছাড়া সম্পুর্ণ শরীরে কিস “Kiss” করার প্রচুর আনন্দও নিতে পারা যায় এই মেশিন দ্বারা তাই এর নাম “কিসিং মেশিনও” রাখা যেতে পারে|
ব্যাবহার বিধি: অন্য কোনও ব্যাক্তির সাহায্য ছাড়াই এই মেশিন নীজে নীজেই ব্যবহার করা যায়| তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে যেমন মালিশ করতে, নিদ্রা নিতে অন্যের দ্বারা এই মেশিন ব্যাবহার করে নিলেই বেশী লাভকারী হয় ও আরাম পাওয়া যায়|
শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংগে (পেটে, পিঠে, কোমরে, পাছায় বা স্তনে) এই মেশিন বসিয়ে মেশিনের উপরের “ফ্লাই নাটটি” কষিতে হয়, নাটটি যতটা কষা হবে(টাইট দেওয়া হবে)বোল্টটি উপর দিকে ততটাই বের হয়ে আসিবে ও ভেতরে যে “ভ্যাকুয়াম পিষ্টনটি” আছে সেটিও ভেতর দিকে ততটাই ঢুকে যাবে ও বায়ুশুন্য(ভ্যাকুয়াম) করে ওই অংগের চামড়াকে ততটাই টেনে ধরবে| এতে ওই জায়গায় চামড়ার নীচে প্রচুর মাত্রায় রক্ত এসে দূষিত পদার্থের অপসারণ ও নতুনত্বের সৃজন করে ওই অঙ্গকে পুষ্ট করে তুলতে সাহায্য করবে| নির্দিষ্ট অঙ্গে এই মেশিনকে লাগিয়ে বায়ুশুন্য করে প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত রাখতে হবে| পরে “মেশিন খুলবার বিধি” অনুসারে বা “বায়ুপ্রবেশ” বোতাম টিপে নির্দিষ্ট অংগ থেকে এই মেশিনকে খুলতে হবে৷ তার পর আবার “ভ্যাকুয়াম পিষ্টনকে” পূর্বাবস্থায় আনবার জন্য এই মেশিনকে শরীর থেকে সম্পুর্ন আলাদা করে নিয়ে ঐ “ফ্লাই নাটটি” সম্পুর্ন ঢিল দিয়ে বোল্টেটি কে উপর থেকে নীচের দিকে হাতের সাহায্যে চাপ দিলেই “ভ্যাকুয়াম পিষ্টনটি” নীচের দিকে পূর্বাবস্থায় ফিরে আসবে ও পুনরায় ভ্যাকুয়াম তৈরীর জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে |
সকলের ক্ষেত্রে ব্যবহার বিধি একই প্রকার৷ দাঁড়িয়ে, বসে বা শুয়ে এই মেশিন ব্যাবহার করা যায়| যখনই এই মেশিন লাগাবেন তখন মনটা অবশ্যই শান্ত হওয়া আবশ্যক| দাঁড়িয়ে নিতে হলে সোজা ও সরল হয়ে দাঁড়িয়ে এই মেশিন লাগানো যায়| বসে নিতে হলে বজ্রাসনে বসে নিলেই ভালো হয়, বজ্রাসন এর নিয়ম নীচে দেখুন| শবাসনে (নীচে শবাসন করার বিধি দেখুন)চিত্ হয়ে লম্বা হয়ে শুয়ে হাত, পা, মাথা ও মন সরল ভাবে রাখতে হবে৷ প্রয়োজনীয় অঙ্গে অল্প তেল নিয়ে হালকা মালিশ করে, তারপর সেই স্থানে এই মেশিন স্থাপন করে এবং হালকা চাপ দিয়ে ধরে মেশিনের উপর যে “ফ্লাইনাট” আছে তাহা কষতে(টাইট দিতে)হবে৷ ফ্লাইনাটটি যতটা কষা হবে ততটাই বায়ু এই মেশিনের ভেতর থেকে বেরিয়ে যাবে ও ততটাই ওই স্থানকে টেনে ধরবে৷ যতটা সহ্য হবে ততটাই নাট কষা দরকার, বেশী কষলে ব্যাথা হতে পারে৷ ওই অবস্থায় এই মেশিনকে প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত রাখতে হবে৷
নিম্ন প্রদত্ত চিত্রে লাল বৃত্ত চিহ্নিত স্থান গুলিতে “Easy Vacuum Machine” লাগাতে হয়-
চিত্র নম্বর-1,2,3,4 এ এই মেশিন 5 মিনিট থেকে লাগাতার 45 মিনিট পর্যন্ত লাগানো যায়|
চিত্র নম্বর-5 এর চিহ্নিত স্থানে এই মেশিন লাগানোর নিয়ম পদ্ধতি ও লাভ - চিত্র নম্বর-5 এর ছয়টি চিহ্নিত স্থানে 5 মিনিট বা 10 মিনিটের জন্য ক্রমানুসারে 1,2,3,4,5,6 নম্বর চিহ্নিত স্থানে এই মেশিন লাগাতে হয় ও লাগানোর পর অবশেষে আবার 1 নম্বর চিহ্নিত স্থানে এই মেশিন লাগিয়ে একটি পূর্ণক্রম সম্পুর্ন করে নিতে হয়| এইরকম পূর্ণক্রম একসঙ্গে দুই বার বা তিন বার করা যায়| এইরকম প্রতিদিন 2/3 বার ব্যাবহার করা যায়| এইরকম পূর্ণক্রম করা কালীন যদি মাথা ব্যাথা হয় তবে তত্ক্ষণাত এই মেশিন লাগানো বন্দ করে দিয়ে 1 ঘণ্টা বিশ্রাম করে নিতে হবে| তার পর আবার 3 বা 4 ঘণ্টা পর এই মেশিন ব্যাবহার করা যায়|
চিত্র নম্বর- 5 এর বিধি নিয়ম শরীরের সমস্ত রোগ বিনাশ করতে বিশেষ সহায়ক| প্রত্যহ নিয়মিত সকালে খালি পেটে এবং দূপুরে ও রাত্রে খাবার খাওয়ার 2/3 ঘণ্টা পর এই মেশিন ব্যাবহার করলে শারীরিক দূর্বলতা, অক্ষুধা, ব্রেনে আশান্তি, চুল পাকা, দৃষ্টি হীনতা, বৃদ্ধাপন, হার্টের এঞ্জাইনা পেন, রক্তহীনতা, পাকস্থলী,লিভার,অগ্ন্যাশয়- এর সংকোচন ও দুর্বলতা, কিডনির, মুত্রাশয় ও প্রস্টেট গ্লাণ্ডের দুর্বলতা, ক্ষুদ্রান্ত ও বৃহদন্তের অক্ষমতা দূর হয়|
বিশেষ-
- 1. মেশিন লাগানোর পর সঙ্গে সঙ্গে মাথায় ও পেটে আরাম ও হাল্কাপণ অনুভব হবে কিন্তু যদি কোনও রকম অসুবিধা হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে এই মেশিন খুলে দিয়ে কিছুক্ষণ পর আবার এই মেশিন ব্যাবহার করা যায়| তবে যে কোনো সময় প্রত্যেক পয়েন্টে (চিহ্নিত স্থানে) 5 / 10 সেকেন্ড ধরে 3, 4 বা 5 বার করে ভ্যাকুয়াম নিলে কোনও রকম অসুবিধা হবার সম্ভাবনা থাকে না |
- 2. শরীরে যদি রক্ত কম বা ব্লাড প্রেসার কম থাকে বা দুর্বলতা থাকে তবে 1 / 2 মিনিটের জন্য ভ্যাকুয়াম নিয়ে 1 মিনিট বিশ্রাম দিলেন তারপর আবার 1 /2 মিনিট ভ্যাকুয়াম নিলেন, এই ভাবে 15 মিনিট থেকে 30 মিনিট ধরিয়া ভ্যাকুয়াম নিলে বেশী লাভকারী হবে|
- 3. পেটের যে কোনও স্থানে এই মেশিন লাগানোর পর অবশেষে চিত্র নম্বর-1এর নিয়ম অনুসারে অবশ্যই 1 বার বা 2 বার লাগাতে হয় | যাহাতে পেটের প্রধান ও শক্তিশালী পাল্স বীটটি নাভির নীচেই অবস্থিত থাকে |
- 4. মেশিন লাগাকালীন যদি ঘুমভাব বা তন্দ্রাভাব ভাব আসে তবে এই ভাবকে কখনই নষ্ট না করিয়া ঘুমাবার চেষ্টা করিবেন বা এই তন্দ্রাভাব কে সম্পুর্ন উপভোগ করার চেষ্টা করিবেন যতক্ষণ আপনা আপনি ঘুমভাব বা তন্দ্রাভাব না কাটে|
লাগানোর পর এই মেশিন খুলবার বিধি: শরীরে যে সব জায়গায় মেশিন স্পর্শ করবে সেই সব জায়গার যে কোনও স্থানে মেশিনের কিনারা দিয়ে মেশিনের ভেতরে ধীরে ধীরে আঙ্গুল ঢুকালে মেশিনের ভেতরে বায়ু প্রবেশ করে যাবে ও সঙ্গে সঙ্গে এই মেশিন ঐ অঙ্গ থেকে খুলে যাবে|
সাবধান-
1. এই মেশিন লাগানোর পর কষে ধরে থাকা অবস্থায় জোর করে টেনে খুলবার চেষ্টা করলে সেই স্থানে ব্যাথা হতে পারে| এইজন্য সবসময় এই মেশিনকে খুলবার জন্য ত্বক ও মেশিনের সংযোগ-স্থান দিয়ে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ভেতরে বায়ু প্রবেশ করে দিয়ে খুলে নেওয়া সুরক্ষা জনক|
2. এই মেশিন লাগানোর পর যদি মাথায়, পেটে বা কোনও অঙ্গে ব্যাথা হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে এই মেশিন খুলে দিয়ে 1/2 মিনিট পর আবার লাগানো যায়| তারপরও যদি আবার ব্যাথা শুরু হয় তবে 1 বা 2 ঘণ্টা পর লাগানো যায়, তাতেও যদি আবার ব্যাথা হয় তবে নিশ্চয় ঐ অঙ্গের ভেতরে কোনও ক্ষত বা টিউমার আছে | এই সব ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিত্সা করা দরকার|
3. এই মেশিন কোনও অঙ্গে লাগানোর পর সঙ্গে সঙ্গে হালকাপন বা আরাম অনুভব হবে, কিন্তু যদি মেশিন লাগানোর পরই বা কিছুক্ষণ পর মেশিন ব্যাবহার করা কালীন যদি মাথা ব্যাথা আরম্ভ হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে “মেশিন খুলিবার বিধি অনুসারে” মেশিন খুলিয়া দিতে হবে | কারণ মেশিন লাগানো জায়গায় প্রচুর মাত্রায় রক্ত চলিয়া আসে এইজন্য মাথায় ব্যাথা হয় | তবে একটু বিশ্রাম নিলেই মাথা ব্যাথা চলিয়া যায় তখন আবার এই মেশিন লাগানো যায় |
নিষেধ– অতি ক্লান্ত অবস্থায়, অতি ব্যস্ত অবস্থায়; পায়খানা, প্রস্রাবের বেগ থাকলে; লিভার, কিডনি ও পেটে আলসারের ব্যাথা, অ্যাপেন্ডিক্সএর ব্যাথা থাকলে বা টিউমার থাকলে; এক বত্সরের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে কোন অপারেশন হয়ে থাকলে, ঋতুকালে, গর্ভাবস্থায়; কাটা, ক্ষত স্থানে এই মেশিন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ |
পায়খানা, প্রস্রাবের বেগ, ডকার (ঢেকুর), জম্ভাই, অঙ্গরাই প্রভৃতির বেগ আসলে বা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে এই মেশিন খুলে দিয়ে ওই সমস্ত বেগ নিরসন হয়ে গেলে তারপর আবার এই মেশিন লাগানো যায় |
এই মেশিনের ব্যাবহার দ্বারা নিন্মলিখিত লাভগুলি পাওয়া যায়:-
1.নাভী সরে যাওয়া (লাড় নড়া)- কখনো নাভী কেন্দ্রের প্রধান নাড়ী (পল্স বীট) নাভী কেন্দ্র থেকে উপরে, নীচে, ডানে বা বাম দিকে সরে যায়| তার ফলে পেটে ব্যাথা হয়, ঠিক মত ক্ষিদে লাগে না, বা ক্ষিদে লাগলেও ঠিকমত হজম হয় না, পেটে গরগর শব্দ হতে থাকে, নীচের দিকে সরে গেলে পাতলা পায়খানা হয়, উপর দিকে সরে গেলে পেটে গ্যাস উত্পন্ন হতে থাকে, মাথা ব্যাথা, মাথায় ও মনে অশান্ত ভাব বা চিরচিরাপণ এসে যায়; বেশী পুরানো হয়ে গেলে মাথার চুল-দাড়ি তাড়াতাড়ি পাকতে থাকে| এই কারণে মেয়েদের লিকোরিয়া, ব্যাথা যুক্ত মাসিক ধর্ম, অনিয়মিত মাসিক ধর্ম, মাসিক স্রাব, গর্ভাশয়ের রোগ দেখা দেয়, কোনও ঔষধে লাভ পাওয়া যায় না| এই সমস্ত রোগ ছ্মাস, বছরের পুরানো হলেও এই মেশিনের আধা/এক ঘন্টার ব্যাবহারে কিছু দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ রূপে ভালো হয়ে যায়| কারণ এই মেশিন সরে যাওয়া নাভি কেন্দ্রের “প্রধান নাড়ীকে” নাভী কেন্দ্রে স্থাপিত করে দেয়, ফলে তত্ক্ষণাত্ লাভ অনুভব করা যায়|
সরে যাওয়া নাভী কেন্দ্রের প্রধান নাড়ীকে নাভী কেন্দ্রে পূণ:স্থাপন করে দিতে এই মেশিন 1 নম্বর চিত্রের চিহ্নিত স্থানে প্রত্যহ একবার বা দুইবার 30 মিনিট থেকে 45 মিনিটের জন্য খালিপেটে লাগাতে হয়| কয়েক দিন মেশিন ব্যাবহার করার পরও যদি বার বার নাভী সাড়ে যায় তবে এই মেশিন ব্যাবহার করার পর সঙ্গে সঙ্গে পেট ভরিয়া ভারী খাবার ( ভাত, রুটি, হালুয়া, মোরব্বা ইত্যাদি ) খেতে হবে (তবে যেন অতিরিক্ত খাওয়া না হয়) ও 10 মিনিট বসে থাকতে হবে, তারপর 10/15 মিনিটের জন্য হালকা হাঁটতে হবে| তবেই নাভি কেন্দ্রস্থানে দীর্ঘকালের জন্য স্থিত হয়ে যাবে | প্রথম দিনেই নাভী কেন্দ্রে স্থাপিত হয়ে যায়, কিন্তু যদি বার বার নাভী সরে যাওয়া রোগ থাকে, তবে খাবার খাওয়ার আগে ঐ একই ভাবে 7 থেকে 15 দিন পর্যন্ত লাগাতার লাগাতে হবে |
দ্বিতীয় পদ্ধতি- যাদের খুব বেশী পুরাতন নাভী সাড়ে যাওয়া রোগ আছে তাঁরা চিত্র নম্বর-1 এর নিয়ম অনুসারে 45 মিনিট ধরে এই মেশিন লাগানোর পর অবশেষে এই মেশিন না খুলে অর্থাত্ এই মেশিন শবাসনে শুয়ে থেকে লাগানো অবস্থায় প্রথমে দুই পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে তার পর দুই হাত ধরে (অন্য লোক দুই হাত ধরে টেনে তুলে বসিয়ে দিলে বিশেষ ভাল হয়) কারো সাহায্যে বসে যাবেন| তার পর মেশিন পেটে লেগে থাকা অবস্থায় বসে বসেই ভারী খাবার ( ভাত, রুটি, হালুয়া, মোরব্বা ইত্যাদি ) খেতে হবে (তবে যেন অতিরিক্ত খাওয়া না হয়) ও 10 মিনিট বসে থাকার পর 10/15 মিনিটের জন্য হালকা হাঁটতে হবে| তবেই নাভি কেন্দ্রস্থানে দীর্ঘকালের জন্য স্থিত হয়ে যাবে |
নাভী নড়া বা সরে যাওয়া পরীক্ষার নিয়ম- পেট খালি থাকা অবস্থায় হাতের 3 টি বা 5 টি আঙুল এক সঙ্গে জড়ো করে নাভীর কেন্দ্রের উপর চাপ দিলেই বুঝতে পারা যাবে যে কোন যায়গায় পাল্স বীট সবচেয়ে বেশী জোরে জোরে লাফাচ্ছে, যদি নাভীর মাঝখানে লাফাচ্ছে তবে বুঝতে হবে নাভী ঠিক স্থানেই স্থাপিত আছে, অর্থাত্ নাভি নড়ে নি বা সরে নি| যদি নাভী থেকে অন্য জায়গায় (অর্থাত্ নাভী থেকে উপরে, নীচে, ডানে বা বামে) পাল্স বীটটি সবচেয়ে বেশী জোরে জোরে লাফাচ্ছে অনুভব করা যায়, তবে বুঝতে হবে নাভি নড়েছে বা সরে গেছে|
বিশেষ- যাঁরা সবসময় বেশী দু:শ্চিন্তা(টেনশন)করে তাঁদের প্রত্যহ সকালে ও সন্ধ্যায় খালি পেটে দিনে দুইবার এই মেশিন লাগানো আবশ্যক| তাছাড়া 1 মিনিট বা ½ মিনিট করে ভ্যাকুয়াম সমস্ত শরীরে আরামের সঙ্গে যে কোনও সময় নেওয়া যায়| এতে লাভই হবে কোনও প্রকারের নুকশান হবে না|
2. মাথা ব্যাথা-
মাথা ব্যাথার জন্য চিত্র নম্বর-1, 2, 4 অনুসারে এই মেশিন বসাতে হয়|
এই মেশিনের প্রয়োগে সঙ্গে সঙ্গে মাথা ব্যাথায় আরাম পাওয়া যায়, তবুও সম্পূর্ণ লাভ নেওয়ার জন্য খালি পেটে এই মেশিন 30 থেকে 45 মিনিট করে সকাল ও সন্ধ্যায় দিনে দুই বার 5/7 দিন ব্যাবহার করতে হয়| যদি পেট খালি না থাকে অর্থাত্ পেট যদি ভরা থাকে তবে এই মেশিন কেবল মাত্র 4 নম্বর চিত্রের বিধি অনুসারে ও কোমর, পাছায় ব্যাবহার করতে হয়|
3. ব্রেনের শান্তি ও নিদ্রা-
ব্রেনের শান্তি ও নিদ্রার জন্য চিত্র নম্বর- 1, 2, 4 অনুসারে এই মেশিন বসাতে হয়|
যে সমস্ত লোক দিনরাত ব্রেনের কাজ বেশী করে এবং রাত্রে ঠিকমত ঘুম হয় না, তাঁরা সকালে ও সন্ধ্যায় খালি পেটে এই মেশিন চিত্র নম্বর-1, 2, 4 এর বিধি অনুসারে ও কোমর এবং পাছায় ব্যাবহার করলে ব্রেনের শান্তি ও নিদ্রা একই সঙ্গে আসিবে| এর জন্য এই মেশিন নিজে নিজেই না ব্যবহার করে অন্য কাহারো দ্বারা লাগাতে হবে যাহাতে নিদ্রা আসতে বিঘ্ন না হয় |
4. অল্প পড়াশুনা করলেই যাদের মাথা ব্যাথা শুরু হয় বা পরীক্ষার আগে যে সমস্ত ছেলে মেয়েদের তেজ মস্তিষ্ক হওয়া সত্বেও দুশ্চিন্তায় ক্ষীদে লাগে না, অসুস্থ হয়ে পরে ও পরীক্ষা দিতে পারে না- তাদের জন্য ইহা বিশেষ লাভকারী, তাঁরা সকালে ও সন্ধ্যায় এই মেশিন চিত্র নম্বর-1, 2 ও 4 এর নিয়ম অনুসারে কিছুদিন ব্যাবহার করলে ব্রেনের শক্তি বাড়িয়া যাবে ও পড়াশুনা ভালোভাবে করে নিতে পারবে| এর সঙ্গে সুপাচ্য খাবারও খেতে হবে|
5. হার্টের এঞ্জাইনা পেন ও মুখের দুর্গন্ধ- এই মেশিন চিত্র নম্বর-1, 2 ও 4 এর নিয়ম অনুসারে ব্যাবহার করে নিতে হয়| এর সঙ্গে কিছু খাদ্য বিধিও বিশেষ করে পালন করে নিতে হবে, যেমন- তেজ ক্ষিদে লাগলে সুপাচ্য ও রসযুক্ত খাবার খেতে হবে| তেজ ক্ষিদে না থাকলে ক্ষিদের জন্য অপেক্ষা করে নিতে হবে, ক্ষিদে না থাকলে কখনই খাবার খাওয়া উচিত্ হবে না| তাছাড়া সপ্তাহে এক বা দুই দিন অবশ্যই পূর্ণ উপবাস বা অর্ধ উপবাস করা উচিত্, না পারিলে ফলের রস বা রান্না করা রসযুক্ত সবুজ তরিতরকারী অল্প মাত্রায় নিতে হবে|
6. বমি- বমি যদি বারবার হতে থাকে, পেট খালি হয়ে গেছে তবুও বমি ভাব যাচ্ছে না, তবে এই মেশিন পেটে নাভির উপর চিত্র নম্বর 2 ও 4 এর নিয়ম অনুসারে 15/20 মিনিটের জন্য 2/3 বার লাগালে বিনা ঔষধেই তত্ক্ষণাত্ বমি বন্দ হয়ে যাবে, প্রয়োজন হলে আরো 2/3 বার লাগানো যায়| (বিশেষ- বমির দ্বারা দূষিত পদার্থ পেটে থেকে বাহির হয়ে যায় সেটাই ভালো কিন্তু তবুও যদি বন্দ করে দিতে হয় তবে এই মেশিন দ্বারা তত্ক্ষণাত্ বমি বন্দ করে দেওয়া যায়|
7. পাতলা পায়খানা- সাধারণত: পায়খানা বন্দ করে দেওয়া শরীরের পক্ষে নুকসান কারক হয়, তবে যদি বারবার পাতলা পায়খানা হতে থাকে, বন্দ হতে চায়না, ওই অবস্থায় চিত্র নম্বর- 3 অনুসারে 20 মিনিট করে একবার বা প্রয়োজন অনুসারে 2/3 বার এই মেশিন পেটের উপর লাগালেই পাতলা পায়খানা বন্দ হয়ে যাবে| পাতলা পায়খানা বন্দ হয়ে গেলে চিত্র নম্বর-1 এর নিয়ম অনুসারে 1 বা 2 বার লাগানো আবশ্যক, কারণ নাভির প্রধান পাল্সবীট নাভির ঠিক নীচে অবস্থিত হয়ে যাবে ও শরীরের দুর্বলতা তাড়াতাড়ি কেটে যাবে |
8. ক্রোধ হলে-
ক্রোধ হয়ে বা কোনও কারণে মাথায় খুব বেশী রক্ত চড়ে গিয়ে মাথা ফাটা ব্যাথা আরম্ভ হলে বা ব্রেন হ্যামারেজ থেকে বাঁচতে এই মেশিন তত্ক্ষণাত লাভ দিতে পারে | চিত্র নম্বর- 2, 4 ও 5 এর নিয়ম অনুসারে এই মেশিন লাগাতে হবে |
9.চুলপাকা, বৃদ্ধাবস্থা- প্রত্যহ তিনবার অর্থাত্ সকালে খালি পেটে, বৈকাল চারটে থেকে ছ্য়টার সময় অর্থাত্ দুপুরের খাবার হজম হওয়ার পর এবং রাত্রে খাবার খাওয়ার দুই/তিন ঘণ্টা পর চিত্র নম্বর-5 এর নিয়ম অনুসারে এই মেশিন ব্যাবহার করলে চুল পাকা বন্দ করবে ও শরীরে তাড়াতাড়ি বৃদ্ধাবস্থা আসতে দিবে না| অর্থাত্ দীর্ঘকাল শরীরে কুমার অবস্থা স্থায়ী থাকবে| এর জন্য প্রত্যহ সন্তুলিত সুপাচ্য খাবার খেতে হবে ও যথেষ্ট নিদ্রা নিতে হবে|
10. শারীরিক দুর্বলতা- 5 নম্বরের নিয়ম ও চিত্রে চিহ্নিত স্থানে এই মেশিন লাগালে ক্ষুধা বৃদ্ধি ও রক্ত বৃদ্ধি হবে|
11. লিভার, পেট সংকোচন- যাদের লিভার পেট সঙ্কুচিত হয়ে ভেতর দিকে ঢুকে গেছে এবং সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, ভেতর দিকে পেট ঢুকে যাওয়ায় সামনে দিকে বা পেছন দিকে শরীর হেলিয়া যায়, তাঁহাদের জন্য এই মেশিন বরদান স্বরকম| চিত্র নম্বর- 5 এর বিধি নিয়ম অনুসারে প্রত্যহ তিনবার করে 1 থেকে 3 মাস ধরে এই মেশিন ব্যাবহার করলে পেটের সংকোচন দূর হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আসিয়া যাবে ও শরীর সোজা হয়ে যাবে | এর জন্য প্রয়োজনানুসারে 6 মাস পর্যন্তও এই মেশিন ব্যাবহার করিতে পারা যায় যায়|
12. মা বোনদের স্তনের আকার বৃদ্ধি করার জন্য– যদি পেটের রোগ বা কোনও সমস্যা থাকে তবে চিত্র নম্বর-5 এর বিধি নিয়ম অনুসারে কিছুদিন এই মেশিন লাগালে পেটের সমস্যা দূর হয়ে যাবে বা কোনও ঔষধ নিয়ে পেটের রোগ ঠিক করে নিতে হবে| পেটের সমস্যাগুলি দূর হয়ে গেলে তারপর এই মেশিন স্তনের উপরে (স্তনটি যেন মেশিনের ভেতরে এসে যায়) এই ভাবে লাগানোর পর মেশিনের উপরের নাটটি কষতে হবে| ইহাতে মেশিন স্তনকে ভেতরের দিকে টেনে ধরবে, নাটটি যত বেশী কষবেন এই মেশিন স্তনকে ততবেশী টেনে ধরবে, কিন্তু সাবধান থাকবেন বেশী টান দিলে ব্যাথা হতে পারে তাই অল্প অল্প করে টান দিবেন অর্থাত্ অল্প করে নাট কষবেন যাতে ব্যাথা না হয়| প্রথম 2/3 দিন খুব অল্প অল্প টান সহ্য করে অভ্যাস হয়ে গেলে পরে ধীরে ধীরে ক্রমশ বেশী টান নেওয়া অভ্যাস করবেন|
স্তনের আকার বৃদ্ধি হতে শরীরের পুষ্টিশক্তি ও পাচনশক্তি অনুসারে কারো কম বা কারো বেশী দিন লাগতে পারে|
13. মেয়েদের লিকোরিয়া, ব্যাথা যুক্ত মাসিক ধর্ম, অনিয়মিত মাসিক ধর্ম, মাসিক স্রাব, গর্ভাশয়ের রোগ, টিউমার- চিত্র 5 এর চিহ্নিত স্থানে নিয়মিত কিছুদিন লাগালে এই প্রকারের সমস্ত রোগ থেকে মা বোনরা সহজেই সদা কালের জন্য মুক্তি পেয়ে যাবেন| ঠিক হয়ে যাওয়ার পর মাসিক হওয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকে মাসিক হওয়ার দিন পর্যন্ত প্রতি সকালে খালি পেটে ও রাত্রের খাবার খাওয়ার 1 থেকে 3 ঘণ্টা পর শোবার সময় এই মেশিন লাগালে কোনও প্রকারের স্ত্রী রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেনা| তবে এর সঙ্গে খাবার ও ব্যাবহার শোধন করা অতি আবশ্যক| নীরোগ হওয়ার পর সুস্থ থাকার মহামন্ত্র হচ্ছে সন্তুলিত আহার খাওয়া ও সন্তুলিত আচরণ করা|
14. পোলিওগ্রস্তদের জন্য- পোলিওগ্রস্ত অঙ্গের মাপ অনুসারে সেটিং তৈরী করে এর সঙ্গে এই ভ্যাকুয়াম মেশিন লাগালে তবে পোলিয়গ্রস্ত অঙ্গে মাংস আসতে শুরু করবে ও